যে ভুল প্রতিটি বাবা মা করেন অথচ তাঁরা জানেনই না !

যদি আপনি পাঁচ বা তার কম বয়সী বাচ্চাদের মা-বাবা হন এবং তাদের দাঁতগুলি ক্ষয়গ্রস্ত কালো হয়, তাহলে আপনিই এর জন্য দায়ী!
যদি আপনি পাঁচ বা তার কম বয়সী বাচ্চাদের মা-বাবা হন এবং তাদের দাঁতগুলি ক্ষয়গ্রস্ত কালো হয়, তাহলে আপনিই এর জন্য দায়ী! “নার্সিং বোতল সিনড্রোম (এনবিএস) … তখনই হয় যখন শিশুর দাঁতগুলি চিনি যুক্ত তরল যেমন দুধ, শক্তিবর্ধক বা রসের সংস্পর্শে দীর্ঘক্ষণ ধরে থাকে” হাফিংটন পোস্টের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে “এটি ব্যাপক দন্তক্ষয় এর কারণ! ফলে, মাত্র দুবছরের বাচ্চার দাঁতে ফিলিং, ক্যাপ পরান এমনকি শেষ পর্যন্ত সে দাঁত তোলাতেও হচ্ছে”
হুমাযইরহ শাহ, একজন ডেন্টিস্ট, বাচ্চাদের বই এবং উক্ত প্রতিবেদনের লেখক বলেছেন যে গত দশক থেকে এনবিএস এর কারণে দাঁতের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে এমন শিশুদের সংখ্যায় নাটকীয় বৃদ্ধি হচ্ছে।
“যখন শিশুরা মুখে দুধের বোতল নিয়ে বা মাতৃদুগ্ধ খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন সারা রাত দুধ মুখে থাকে,” তিনি বলেন।
“মুখের মধ্যে থাকা ব্যাক্টেরিয়া শর্করাকে অ্যাসিডে পরিণত করে, যার ফলে দাঁত ক্ষয় হয়।”
তিনি সুপারিশ করেছেন যে প্রথম বছর শিশুর মায়ের দুধ খাবার পরে, একটি বোতলে জল রেখে প্রতিবার খাওয়ানোর পরে জল দিতে যাতে দুধের বা তরল শিশুখাদ্যের অবশেষ ধুয়ে চলে যায়।

Photo credit: The Huffington Post
“ধীরে ধীরে রাতে খাওয়াবার সংখ্যা কমিয়ে আনুন।”
তিনি আরও বলেছিলেন যে রোগীরা সাধারণত এনবিএস এর জন্য দুহাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করে।
“আমার এনবিএস রোগীরা বেশিরভাগই শিশু, যাদের বয়স পাঁচ বছরেরও কম” তিনি বলেন। “আমি তাদের কষ্ট পেতে দেখেছি এবং তাদের চিকিৎসা চলার সময় ওদের বাবা-মাকে কাঁদতেও দেখেছি! চিন্তা করুন, যদি আমরা এই টাকা শিশুদের আর তাদের বাবা-মাদের এই প্রয়োজনের থেকে কম গুরুত্ব দেওয়া বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করার জন্য খরচ করতাম, তাহলে কেমন হোতো”!
কিভাবে আপনি এনবিএস প্রতিরোধ করবেন
এই বিষয়ে হুমাইরহ নিম্নলিখিত টিপস দিয়েছেন –
- ১২ থেকে ১৪ মাসের মধ্যে আপনার শিশুকে বোতলের অভ্যাস ছাড়ান।
- দুধ ভর্তি বোতল হাতে নিয়ে আপনার বাচ্চাকে ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ঘুরে বেড়াতে দেবেন না।
- আপনার বাচ্চার দাঁত বেরোবার সঙ্গে সঙ্গে ব্রাশ করানো শুরু করুন বা একটি ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন।
- ১২ মাস বয়স হলে দাঁত পরীক্ষা করান – কোনো সমস্যা দেখা দিলে আরও আগেই।
- জুস এবং সোডা দাঁত ক্ষয়ের কারণ এবং এগুলো এড়ানো উচিত; ৪ আউন্স হল সর্বাধিক পরিমাণ জূস যা একটি শিশুর এক দিনে খাওয়া উচিত।
- শিশুদের প্রতি 2-3 ঘন্টা অন্তর খাওয়ানো উচিত।
- নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী ৮ টায় ব্রেকফাস্ট, ১০ টায় স্ন্যাক্স, ১২ টায় লাঞ্চ, এরকম ভাবে খাওয়ানো যেতে পারে।
- দুটি ভোজনের মাঝে সে শুধু জল খেতে পারে।