প্রতিটি বিবাহবার্ষিকী একটি দম্পতির জীবনে বিশেষ দিন, যেহেতু এই দিনটি আপনাদের সেই পবিত্র বন্ধনের কথা মনে পড়িয়ে দেয়, আর দুজনে সেই স্মৃতি পরস্পরের সঙ্গে ভাগাভাগি করে থাকেন। এটি রেণুকার ১৬ তম বিবাহবার্ষিকী এবং স্বাভাবিক কারণেই এই সুন্দর অভিনেত্রী আজ চমৎকার মেজাজে রয়েছেন।
প্রকৃতপক্ষে, জীবনের এই স্মরণীয় মুহূর্তে তিনি তাঁর আবেগ দমন করতে পারেন নি এবং তাঁর জীবনসঙ্গীর জন্য একটি সুমিষ্ট বার্তার সাথে তাঁদের বিয়ের এবং স্বামী আশুতোষ রাণার গোটা দুয়েক পুরোন ছবি শেয়ার করেছেন।
"সুমিষ্ট ষোল পূর্ণ হল। পরম আশীর্বাদে আমরা পরস্পরকে পেয়েছি," এই সৌভাগ্যের দিনে স্বামীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন।
১৬ বছর আগে জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা আশুতোষ রাণার সঙ্গে বিয়ের পর রেণুকা এখন দুটি বড় বড় বাচ্চা, শৌর্য্যবান (১৩) এবং সত্যেন্দ্রের (১১) মা। তিনি চান যে দম্পতি হিসেবে তাঁরা তাঁদের বাচ্চাদের সামনে কিছু নিয়ম পালন করবেন যাতে তাদের একটি নিরাপদ পরিমণ্ডল দিতে পারেন।
তাহলে তাঁদের সুখী বিবাহিত জীবনের গোপন রহস্য কি হতে পারে?
"আমি মনে করি সততাই সব ভাল সম্পর্কের মূল কথা। একটি দম্পতি হয়ে আমরা যে সব সমস্যা বা বিতর্কের সম্মুখীন হই, আমরা একদিনের মধ্যে তার সমাধান করে ফেলি যাতে আমরা পরের দিন সকালে নিশ্চিন্তমনে বিছানা ছাড়তে পারি, আমরা অতীতের ভার বহন করি না," তিনি কিছুদিন আগে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে দ্যইন্ডাসপ্যারেন্ট কে বলেন।

প্রকৃতপক্ষে, রেণুকা বলেছেন যে বিয়ে যত পুরোন হয় ততই ভাল হয়ে ওঠে এবং এর জন্য তাঁর নিজস্ব কারণ আছে।
"আমাদের যখন দেখা হয়েছিল তখন আমরা কিশোর কিশোরী ছিলাম না, প্রায় তিরিশের কাছাকাছি ছিলাম আর আমরা বিয়েও বেশ দেরীতে করেছি। তাই সম্পর্কের খুঁটিনাটি জানার জন্য যথেষ্ট প্রাপ্তবয়স্ক ছিলাম। এটি প্রেম করে বিয়ে ছিল, একভাবে দেখতে গেলে সেটা পুরোন মদের মতো .... (খুব জোরে জোরে হেসে ওঠেন)। বিয়েটা যত পুরোন হয় ততই মনোরম হয়," তিনি আরও বলেন।
যাইহোক, দম্পতি হিসেবে তাঁরা সন্তানদের সামনে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেন যাতে তাদের একটা নিরাপদ পরিমন্ডল দিতে পারেন এবং আদর্শ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।

"আমরা বাচ্চাদের সামনে ঝগড়া না করার চেষ্টা করি যাতে ভাবে যে তারা নিরাপদ বলয়ে আছে যেখানে তাদের মা-বাবার পরস্পরের সঙ্গে চমৎকার বোঝাপড়া আছে। তাদের জন্য এটি একটি ভাল দৃষ্টান্ত কারণ সম্পর্ক জিনিষটা তারা এখন শিখছে," তিনি বলেন।
দম্পতি হিসেবে তাঁরা বদাচ সন্তানদের সামনে খারাপ কিছু করেন না।
"যদি কখনও আমাদের মধ্যে মতান্তর হয়, আমরা তা বাচ্চাদের কাছে প্রকাশ করি না, তাদের সামনে কোনও আলোচনাও করি না। এ ব্যাপারটা আমরা সম্পূর্ণ বর্জন করি," তিনি আরও বলেন।
সুখী বিবাহিত দম্পতিদের গোপন রহস্য
১। তাঁরা শোনেন : উত্তপ্ত বিতর্কের সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখা খুবই মুশকিল, কিন্তু যাই হোক না কেন, ঝগড়ার সময় সুখী দম্পতিরা শোনেন যে সঙ্গীর কি বলার আছে। মন দিয়ে শোনার অভ্যেস গড়ে তুলুন আর স্বামীর/স্ত্রীর সহমর্মী হবার চেষ্টা করুন, আর তাঁর দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করুন।
২। তাঁরা একে অপরের প্রশংসা করেন : আন্তরিক এবং সহজ প্রশংসা সত্যিই অনেক কাজের জিনিষ। জীবনসঙ্গীর প্রশংসা করাতে কোনও লজ্জা নেই, শুধু দেখতে আজ বেশ ভাল লাগছেই নয়, তাঁদের রান্নার, তাঁদের কাজের, অথবা তাঁরা বাচ্চাদের সঙ্গে কি চমৎকার ব্যবহার করেন বলেও প্রশংসা করা যায়।
৩। তাঁরা হেসে উড়িয়ে দেন : সুখী দম্পতি ছোট ছোট সমস্যার কারণে তাঁদের মেজাজ খারাপ হতে দেন না আর সম্পর্ক বিগড়াতে দেন না। তারা ছোট সমস্যা উপেক্ষা করে শুধু হেসে উড়িয়ে দিতে পছন্দ করেন। এটাই সেরা উপায়, আপনি কি একমত নন?