ছবিতে: রবিবার প্রথাগত ভাবে অমিতাভ বচ্চন যখন ভক্তদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তখন আরাধ্যা তার দাদুকে সঙ্গ দেয়

ছবিতে: রবিবার প্রথাগত ভাবে অমিতাভ বচ্চন যখন ভক্তদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তখন আরাধ্যা তার দাদুকে সঙ্গ দেয়
তার নতুন পোষ্য "সল্ট পিপার" এবং মা ঐশ্বর্যও তার সাথে যোগ দেন!
এটি একটি ঘটনা যে অমিতাভ বচ্চন প্রতি রবিবার তাঁর মুম্বাই বাসভবন 'জলসা'র বাইরে জড়ো হাজার হাজার ভক্তদের সাথে মিলিত হন এবং তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এটি এমন একটি কাজ যা তিনি গত ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে করে আসছেন।
//platform.instagram.com/en_US/embeds.js
কিন্তু এই রবিবার তাঁর ভক্তদের জন্য আলাদা ছিল কারণ বিগ বি তাদের কাছে একটি বিস্ময় নিয়ে এসেছিলেন। প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা তাঁর নাতনি আরাধ্যা কে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন এবং ছোট বচ্চন এই অনুষ্ঠানে তার দাদুর সাথে থাকতে পেরে উচ্ছসিত ছিল, যদিও প্রথম দিকে সে কিঞ্চিত আড়ষ্ট ছিল।
বৌমা ঐশ্বর্যও তাঁর মেয়ের সাথে ছিলেন এবং ছিল তাঁদের পরিবারের নোতুন পোষ্য ‘সল্ট পিপার’।
T 2439 - .. the Sunday well wishers .. and an introduction to the little one .. she confessed later : 'I was a little afraid'!! .. pic.twitter.com/85era6zQZL
— Amitabh Bachchan (@SrBachchan) May 29, 2017
//platform.twitter.com/widgets.js
অমিতাভ বচ্চন তার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, "এবং অনিচ্ছুক ছোট্টটি অবশেষে শুভচিন্তকদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বেরিয়ে আসতে সম্মত হয় .. কিন্তু জনতার ভীড়ে বিচলিত হয় এবং স্বীকার করে যে সে সেখানে আসতে একটু ভয় পেয়েছিল .. তার প্রধান আকর্ষণ ছিল তার নতুন পোষা একটি রাস্তার বিড়াল যার নাম সে রেখেছে 'সল্ট পিপার' .. "
//platform.instagram.com/en_US/embeds.js
আরাধ্যা এবং তার পোষ্যটি সম্পর্কে বিগ বি আরও বলেছেন, "ও আমাকে বলছিল এটা পুষতে আর আমি বললাম যে আমি বিড়াল পছন্দ করি না, তাতে সে বেশ অবাক হল ...... বলল যে আরেকটা আছে, এটার বোন ..... মানে ওর পোষা বিড়ালটির বোন .. বেচারা ভেবেছিল যদি আমি তার বোনকে পছন্দ করতে রাজী হই .. আমি না বললাম .. আমার মনে হয় আজকে তার মন থেকে ছোট্ট পরীসুলভ অনেকগুলি ধারণা আমি দূর করে দিয়েছি," তিনি তার ব্লগে লিখেছেন …
//platform.instagram.com/en_US/embeds.js
দাদু দিদাদের বাদ দিয়ে নয় …
স্পষ্টতই, বচ্চন কুলপতি তাঁর নাতনী এবং এমনকি বৌমা ঐশ্বর্যর সঙ্গে অনেক সময় কাটান। আরাধ্যার প্রতিক্রিয়া থেকে এটাও স্পষ্ট যে দাদু-দিদারা সত্যি সত্যিই একটি বাচ্চার হৃদয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং তারা আপনার সন্তানের জীবনে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ:
- প্রকৃতপক্ষে, একটি বাচ্চার মূল্যবোধ নির্মাণে তার দাদু-দিদা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। দুর্ভাগ্যক্রমে, অণু পরিবারের এই যুগে, একটি শিশু তার বাবা-মা, তাঁদের পিতা ও মাতার কাছ থেকে যে মূল্যবোধ ও নীতিশিক্ষা পেয়েছিল, তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
- আজকের বাবা-মা তাদের সন্তানদের মনের মধ্যে যে পারিবারিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং নীতিমালা বদ্ধমূল করে তুলতে চায়, তার জন্য দাদু-দিদা এক উপযোগী মাধ্যম হতে পারে্ন। যেহেতু বাচ্চারা সব সময় তাদের পিতা-মাতার কথা শোনা পছন্দ নাও করতে পারে, তাই দাদু-দিদারা দৈনন্দিন জীবনে বেশ মজাদার উপায়ে বাচ্চাদের সাধারণ পাঠ শেখানোর কাজে সহায়ক হতে পারে।
- চাকুরীরত বাবা-মা তাদের ব্যস্ততার কারণে বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাবার সময় পান না এবং এরজন্য প্রায়ই নিজেদের দোষী মনে করেন।
- এমতাবস্থায় দাদু-দিদারা অতি প্রয়োজনীয় সহায়ক হয়ে উঠতে পারেন।তাঁরা শিশুর মনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ মানসিক বন্ধন গড়ে তুলতে সাহায্য করেন এবং তাদেরকে ঘণ সম্পর্কযুক্ত পরিবারের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সহায়তা করেন।