আমরা সবাই জানি যে তারকার সন্তান হওয়ায় সবার তাদের প্রতি এক প্রত্যাশা থাকে। স্বজনপোষণ একজনকে শেখান অবধি পৌঁছে দিতে পারে।
আর যে হারে তারকা দের সন্তানরা অভিনয়ে নামছে, মিডিয়ার দৃষ্টি তাদের ওপর সর্বদায় লেগে আছে।
কিন্তু অনেকেই তরুণ প্রজন্মের জন্য সথিক প্রাধান্য তৈরি না করে তাদের এই অধিকারের অপব্যাবহার করছে। আর মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী সারা আলি খান ঠিক সেটাই করছেন।
হ্যাঁ, আপনি ঠিক পড়লেন।
সুন্দরী সারা, ফটোগ্রাফার দের প্রিয়, তিনি এক স্পা তে গেছিলেন তার বন্ধু অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর সাথে। পেমেন্ট করার সময়, তারা তৎক্ষণাৎ বিল দিতে পারেনি!
সারা আলি খান স্যালন এ বদমেজাজ দেখায়!
এই কারনে সারা এবং রিয়া বান্দ্রার এক নামকরা স্যালনে সবার সামনে বদমেজাজি হয়।
বিল দেবার সময় সনা যায় যে তাদের কার্ড ডিকলাইন হয়েছে, এবং তারা তৎক্ষণাৎ পেমেন্ট করতে পারেনি। এতে তারা দুজনেই রাগ করেন এবং স্যালনের স্টাফ এবং মান্যাজারের ওপর সেই রাগ ঝাড়েন।
এই ঝামেলা শুনে এক কাস্টমার উঠে এসে মেয়েদের বলে আওয়াজ নিচে রাখতে যেহেতু স্যালনে কিছু বাচ্চাও রয়েছে। এই কথা শুনে মেয়েরা আরও রেগে ওঠে এবং কথা কাটাকাটি মারামারি তে পরিণত হয়।
স্যালন থেকে পলায়ন
এটা জানা যায়নি যে তারা পেমেন্ট করতে সক্ষম হন কি না, তবে তাদের হুড়োহুড়িতে স্যালন থেকে বেরোতে দেখা যায়।
রিয়াকে দেখা যায় এক চেক সার্ট এবং জিনসে, এবং সারার গায়ে ছিল এক সাদা সালোয়ার কামিজ এবং তিনি নিল ওড়নায় তার মুখ ঢেকে রেখেছিলেন।
পরিবার সারার সাথে
যদিও স্যালন এই ঘটনা অস্বিকার করে, ফটোগ্রাফার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ভিন্ন। কিন্তু কোনও পক্ষই আসল ব্যাপার মানতে রাজি নয় কারন এটা “ইমেজ” খারাপ করে।
এবং যে পেশা যৌবন এবং “ইমেজ” এর ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেখানে এরকম ঘটনা ক্ষতিকর।
যদিও এই ঘটনা, সারার জন্য ভাল নয়, তার পরিবার এবং সৎ মা কারিনা কাপুর তার সাথে দাড়ায়।
“আমি জানি সে অত্যন্ত প্রতিভাশালী। এটা তার জিন্সে রয়েছে। সারা খুব সুন্দর এবং আমি জানি তার সৌন্দর্য এবং প্রতিভাতে সে ফিল্ম জগতে নাম করবে,” কারিনা বলেন।
সারা হয়ত সত্যিই প্রতিভাশালী, এবং কিন্তু এই খবর এটা প্রমান করে যে সে এক বিগড়ানো, ধনি সন্তান!
আমরা কেউই চাইনা, যে আমাদের মেয়েরা এই ধরনের “গুণ” নিয়ে বড় হোক। বাবা-মা হিসেবে আমাদের কর্তব্য তাদের ব্যাবহার ঠিক করা।
বিগড়ানোর ৫ টি লক্ষণ!
- দায় ছাড়া হওয়া – এক বিগড়ে যাওয়া বাচ্চা সবসময় তার আয়ত্তের বাইরে যেতে চাইবে। এবং অনেক সময় তারা এটা বুঝবেই না কর্ণ কেউ তাদের কখন বারন করেনি।
- বিপজ্জনক বন্ধুত্ব – আপনার সন্তান যদি এমন কারুর সাথে বন্ধুত্ব রাখতে পছন্দ করে না যার কথা সে সুনতে চায়না, তবে টা ঠিক নয়। এদের অর্থপূর্ণ বন্ধুত্ব করতে সবসময় অসুবিধে হয় কারন এরা সবেই শর্তাবলী রাখে।
- স্বার্থপর – আপনার সন্তান যদি সহানুভুতি এবং সহমর্মিতা না দর্শায় তো তাকে সাথে বশিয়ে কথা বলুন। তাদের বিশেষ সুবিধা এবং অধিকার তাদের শুধু নিজের ব্যাপারেই ভাবতে উৎসাহিত করে।
- মেজাজ দেখান – এটা তখনই হয়, যখন সে সে দরকারের থেকে বেশী অধিকার পায়। বয়সন্ধি কালে মেজাজ অনেক বাচ্চাই দেখায়। কিন্তু এর বারাবারি স্বাভাবিক নয়। এবং আপনি যদি তার মেজাজ মেনে নেন তবে সে জানে যে সে আপনাকে নিজের ইচ্ছে মত চালাতে পারে।
- তৎক্ষণাৎ পরিতৃপ্তি – আপনার সন্তান যখন বুঝে যাবে যে সে আপনাকে সবকিছুর জন্য রাজি করাতে পারে। সে নিজের ইচ্ছে মত আপনার দুর্বলতাতে ব্যাবহার করবে।